শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বিতর্কের জনপ্রিয় কিছু ফরম‌েট

বিতর্কের জনপ্রিয় কিছু  ফরম‌েট
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
১।সনাতনী বিতর্কঃ
সনাতনী বিতর্কে দুটি দল থাকে।একটিকে বলা হয় পক্ষ দল এবং অপরটিকে বলা হয় বিপক্ষ দল
যিনি বিতর্ক পরিচালনা করেন তাকে বলা হয় সভাপতি।একটি বিষয় থাকে যেটির পক্ষে পক্ষ দল কথা বলে অপর দিকে বিপক্ষ দল সেটির বিরোধীতা করে ।
সনাতনী বিতর্কে দুটি পর্ব থাকে
গঠনমূলক পর্ব  
যুক্তিখন্ডন পর্ব
গঠন মূলক পর্বঃ  এই পর্বে প্রত্যেক বক্তা ৫ মিনিট করে সময় পায় নিজের বক্তব্য প্রদানের জন্য।  নিম্নের পর্যায়ক্রমে বিতর্ক এগিয়ে যায়ঃ
                   
পক্ষ দল                            বিপক্ষ দল
প্রথম বক্তা                       প্রথম বক্তা
দ্বিতীয় বক্তা                     দ্বিতীয় বক্তা
 দলনেতা                          দলনেতা
যুক্তি খন্ডন পর্বঃ  এই পর্বে উভয় দলের দলনেতা ৩ মিনিট করে সময় পান বিপরীত দলের যুক্তি খণ্ডন করার।
দায়িত্বঃ
উভয়দলের প্রথম বক্তার কাজ হচ্ছে বিষয় এবং দলের অবস্থান পরিস্কার করা ।পুরো বিতর্কটি কেমন হবে সেটা মডেল প্রদান করা ।তবে বিপক্ষ দলের প্রথম বক্তার আরেকটি কাজ হচ্ছে তার আগে বক্তব্য দেওয়া পক্ষ দলের অবস্থানের সীমাবদ্ধতা অলোচনা করে যাওয়া।

দুই দ্বিতীয় বক্তার কাজ হচ্ছে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে যাওয়া । তথ্য ও যুক্তি প্রদান করা এবং প্রতিপক্ষ দলের অবস্থানের অসারতা প্রমান করা ।

দুই দলনেতার নিজেদের দলীয় অবস্থান নিয়ে কথা বলবে তবে তাদের থেকে একটি সারমর্ম আশা করা হয় যা মূলত তাদের প্রধান কাজ ।তারা সারমর্ম প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরো শক্তিশালী করবে ।

২। বারোয়ারী বিতর্কঃ
বারোয়ারী বিতর্ক বিতর্ক ফরম্যাট গুলোর মধ্যে অন্য রকম একটি ফরম্যাট ।
আমরা মুলত দেখতে পাই যে বিতর্ক গুলো দলগত  হয় এবং দলগত ভাবেই ফলাফল প্রকাশ করা হয় । এখানে ব্যক্তি বিতার্কিকের থেকে দলের বিতার্কিক ব্যাপারটি মুলত আলোচনায় আসে। বারোয়ারী বিতর্ক এর থেকে বাইরে চলে আসে । যেখানে একটি বিষয়ের উপর বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতবাদের কথা বলে। এই বিতর্কে আমরা public speaking কিনবা উপস্থিত বক্তৃতার সাথে তুলনা করতে পারি। এই বিতর্কের বিষয় হয় অনেকটা মুক্ত ধরনের । যেমন হতে পারে " আজ হতে শত বছর পর..." এখানে বিতার্কিকরা বিভিন্ন দিক থেকে বক্তিতা নিয়ে আসবে, এই বিতর্কে শিল্পের প্রয়োগ দেখা যায় । তার কারন এই বিতর্ক মুক্ত ভাবে চিন্তা করার ও তা বলার নিশ্চয়তা দেই । একটি বিষয়ের উপর ১০ জন কিনবা ১৪ জন নিজেদের মতামত নিয়ে আসছে তাও ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে ...।এখানেই বারোয়ারী বিতর্কের  প্রার্থক্য । এই বিতর্কে আবেগের ব্যবহার করাটাও লক্ষ করা যায় । আসে হাসি , উৎসবের গল্প । আত্ম সমালেচনা করাও যায় এখানে । মোট কথা বারোয়ারী বিতর্ক কোন বিতার্কিকের মন খুলে ভাবার জায়গা এবং সেটিকে যুক্তি ও শিল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করার সুযোগ।
নিম্নে কিছু বারোয়ারী বিতর্কের বিষয় দেওয়া হল

তোরা যে যা বলিস ভাই ...
মুক্তির পথে...
আমরা করব  জয়...
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ...
আমারও ইচ্ছা করে ...

‌  ৩।প্লানচ্যাট বিতর্কঃ
বিতর্কের এই রূপটি প্রতিযোগিতার জন্য নহে। সাধারণত Show Debate হিসেবে এই বিতর্ক করা হয়। খুবই রোমাঞ্চকর এই বিতর্ক। এই বিতর্ক করতে পরিবেশটি লাগে আলো-আঁধারের মত। সচরাচর মোম জ্বালিয়ে কিংবা মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে বিতর্ক মঞ্চটি সাজানো হয়। আলো-আঁধারের মধ্যে বিতার্কিকরা বসে থাকেন। অথবা মঞ্চের পেছনেও থাকতে পারেন। এই বিতর্কটি অতীত ও বর্তমানের আলোচিত কিছু চরিত্র (ইতিবাচক-নেতিবাচক) নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। একে একে বিভিন্ন চরিত্র এসে তাদের কৃতকর্মের বর্ণনা দেন এবং শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করেন। একজনের বিতর্ক শেষে উপস্থিত দর্শকসারি থেকে উক্ত তার্কিককে প্রশ্ন করা যাবে-তার চরিত্র বা কৃতকর্ম সংশ্লিষ্ট। মৃত বা জীবিত দু’ধরণের চরিত্রই প্লানচ্যাট বিতর্কে উপস্থিত হয়। এই বিতর্কে সবচেয়ে মজার কাজটি করে থাকেন বিতর্ক মডারেটর। যিনি পর্দার আড়াল থেকে পুরো বিতর্কটি পরিচালনা করে উপভোগ্য করে তোলেন। এই বিতর্কে যিনি মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন তাকে ‘ওঁঝা’ বলা হয়।

৪। রম্য বিতর্কঃ
সাধারণতঃ বিতর্ক অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতা মনোরঞ্জনের জন্য প্রীতি বিতর্ক হিসেবে রম্য বিতর্কের আয়োজন করা হয়। একটু চটুল বিষয় নির্ধারণ করা হয় এ ধরণের বিতর্কে। যেমন- “মন নয় চাই মোটা মানিব্যাগ, সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ত্যাগ বেশী।” এবং বিতার্কিকরাও এই বিতর্কে হাস্যরসাত্মক ভাবে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সনাতনী ও সংসদীয় উভয় ফরমেটে রম্য বিতর্ক করা হয়।

৫। আঞ্চলিক বিতর্কঃ
আঞ্চলিক বিতর্ক রম্য বিতর্কেরই একটি ধারা। বারোয়ারী ফরমেটে এ বিতর্কে প্রত্যেক বিতার্কিক নির্দিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় বিতর্ক করে থাকে। যেমন, একটি বিতর্কে ৬ জন বিতার্কিক যথাক্রমে বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা (অবশ্যই পুরান ঢাকাইয়্যা) ও রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় বিতর্ক করতে পারে। এ বিতর্কে বিতার্কিক সংখ্যা যে কোন সংখ্যার হতে পারে।

৬। জুটি বিতর্কঃ
এই বিতর্কটিও ‘শো-ডিবেট’ হিসেবে জনপ্রিয়। জীবিত অথবা মৃত বাস্তব জুটি, অথবা সিনেমা, নাটক, কিংবা উপন্যাসে জনপ্রিয় কোন জুটির ভূমিকায় ২ জন করে এ বিতর্কে অংশ গ্রহণ করে। জুটি সংখ্যা যে কোন মাত্রার হতে পারে, যেমনঃ দেবদাস-পার্বতী, অমিত-লাবণ্য, ডি ক্যাপ্রিয়-উইন্সলেট, বাকেরভাই-মুনা ইত্যাদি চরিত্রে বিতর্ক হয়। তারা প্রত্যেকে নিজেদের ত্যাগকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে।

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ব‌িতর্ক প্রত‌িযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার শর্ত
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°

ক‌েউ  অপরাজ‌েয় নয়। সব প্রত‌িয‌োগিতাত‌েই জয়-পরাজয় রয়‌‌েছে। ব‌িতর্কও এর ব্যত‌িক্রম নয়।একজন উঁচু মানের ব‌িতার্ক‌িকও পরাজয়‌ের সম্মুখীন হত‌ে পার‌েন। সেটিকে স্বাভাবিক বল‌েই মেনে নিতে হবে।ন‌িরঙ্কুশ
জয়‌ের ন‌িশ্চয়তা ক‌োনো প্রত‌িযোগিতাত‌েই ন‌েই। বিতার্কিকরা যদ‌ি ন‌িচের ব‌িষয়গুল‌োর উপর বিশেষ দৃষ্ট‌ি রাখে তাহল‌ে বিতর্কে জয়লাভ সহজ হব‌ে।
>>ব‌িতর্ক‌ের ক‌ৌশল ন‌ির্ধারণ
>>পূর্ণপ্রস্তুত‌ি
>>অাত্মব‌িশ্বাস
>>প্রত‌িপক্ষক‌ে অবজ্ঞা না করা
>>প্রথম‌ে সহমত,পর‌ে ভিন্নমত
>>দর্শক সমর্থন
>>বাস্তব উদাহরণ
>>দৃশ্যমানতা
>>য‌ৌক্ত‌িকতা
>>শুদ্ধ উচ্চারণ‌
>>সময়‌ের ব্যবহার

AI in Education, AI in Teaching: Revolutionizing Learning

Artificial Intelligence (AI) is changing many fields. Education and teaching are no exceptions. ...